detail blogs

a

খাবারের আগের ঔষধ এবং খাবারের পরের ঔষধ খাওয়ার সঠিক নিয়ম


যে ঔষধ যে সময় খাওয়ার নিয়ম সে সময় না খেলে সে ঔষধ কাজ করে না। কাজ তো করেই না সেটা এক রকম ব্যাপার ভয়ানক ব্যাপার হলো ঔষধ সময় মতো না খেলে সেটার মারাত্বক পার্শপতিক্রয়া দেখা দেয়। আসলে আমরা অনেকেই জানি না যে খাবারের আগে এবং পরে ঔষধ খাওয়ার আসল মানে কি। অনেক সময় আমাদের ডাক্তারেরা সেটা বুঝিয়ে বলেন না আবার ডাক্তার বুঝিয়ে বললেও আমরা সেটা খুব একটা পাত্তা দেই না। আমরা ভাবি যে কি আর এমন হবে।কোনো ঔষধ খেতে হয় খালি পেটে আবার কোনো ঔষধ খেতে হয় ভরা পেটে । আবার এমন কিছু কিছু ঔষধ আছে যেগুলো খেতে হয় খাবারের সঙ্গে সঙ্গে।

খাওয়ার আগের ঔষধ মানে সেটা খাবারের কমপক্ষে ৩০ মিনিট আগে খেতে হবে। কোনো কোনো ঔষধ যেটা খাবারের ১ ঘন্টা আগেও খেতে হয়। এখন যদি আপনি ঔষধ খাওয়ার কথা ভুলে গিয়ে খাবার খেয়েই ফেলেন তাহলে কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে ঐ ঔষধ খাওয়া যাবে না। খাবার খাওয়ার ২ ঘন্টা পরে ঐ ঔষধ খেতে হবে।
 খাওয়ার পরের ঔষধ মানে সেটা খাবারের কমপক্ষে ৩০ মিনিট পরে খেতে হবে। আবার কোনো ঔষধ খাবার খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে খেয়ে নিতে হয়। আপনি যে ঔষধটা খাচ্ছেন সেটা খাবার খাওয়ার ঠিক কতক্ষন আগে/পরে খেতে হয় সেটা অবশ্যই ডাক্তারকে জিজ্ঞাসা করে নিন।

অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ার নিয়মঃ
বাংলাদেশের মানুষ অ্যান্টিবায়োটিক খেতে খুব ভালোবাসে। আর ডাক্তারেরাও অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়াতে পছন্দ করে। সেগুলি হয়তো আপনাকে ৬ ঘন্টা পরপর ৮ঘন্টা কিংবা ১২ ঘন্টা পরপর| মোট ৫/৭/১২/১৬ টা ডাক্তারেরা আপনাকে খেতে বলেছে আর আপনি কোনো সময় না মেনে সকাল, দুপুর, রাত না মেনে আপনার খুশি মতো সময় অ্যান্টিবায়োটিক খেয়ে যাচ্ছেন। খুশি মতো অ্যান্টিবায়োটিক তো খাচ্ছেন কিন্তু আপনার শরিরের যে ক্ষতি হচ্ছে সেটা কি জানেন।অ্যান্টিবায়োটিক সঠিক সময় বা সঠিক ডোজে না খেলে অ্যান্টিবায়োটিক শরিরের কোনো কাজ করে না। বরং চিরদিনের জন্য আপনার শরিরে ঐ অ্যান্টিবায়োটিকের প্রতিরোধ ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যেতে পারে। মানে এটা আর কোনো দিনই আপনার শরিরে কাজ করবে না এমনও হতে পারে। সময় মতো ঔষধ না খেলে আপনার রোগতো সারবেই না বরং আপনি বিপদে পড়তে পারেন। 

খাবারর সাথে ঔষধের সম্পর্ক কিঃ
খাবারের আমাদের শরিরে সম্পর্ক যা ঔষধেরও সম্পর্কও তা। আমরা যখন খাই সেটা তখন আমাদের শরিরে নানা পরিবর্তন ঘটায়। যেমন খাবার পেটে গেলে আমাদের রক্তচাপ বেড়ে যায়। পরিপাক রস বা বিলের পরিমানও বেড়ে যায়। এসিডিটির পরিমানও বাড়ে। এখন আপনি যে ঔষধ খাচ্ছেন তার জন্য কেমন পরিবেশের দরকার খালি পেট নাকি ভরা পেট,  বেশি এসিড নাকি কম এসিড, বেশি বিল নাকি কম বিল, বেশি ব্লাড প্রেশার নাকি কম ব্লাড প্রেশার সবই নির্ভর করে।

যেসব ঔষধ খাবারের আগে খেতে হয় সেগুলি আসলে খাবারের সাথে ঠিক মতো কাজ করে না মানে সেগুলির ঠিক মতো কাজ হওয়ার জন্য এই ঔষধ গুলো ঠিকভাবে হজম হবার জন্য পরিপাকতন্ত্রে কোনো খাবার না থাকাই ভালো। যেমন থাইরয়েডের ঔষধ অনেক সময় এমন হয় যে পরিপাকন্ত্রে কোনো খাবার থাকলে সেগুলির কারনে ওষুধ ঠিকমতো হজম হয় না। অনেক সময় হজম হলেও যেভাবে থার কাজ করার কথা সেভাবে কাজ করে না। আবার অনেক সময় খাবারের সাথে মিশে আপনার শরিরে বিপদজনক প্রতিক্রিয়া তৈরি করতে পারে। আবার খাবার পরের ঔষধগুলো পেটে কোনো খাদ্য না থাকলে ঠিকমতো হজমই হবে না। যেমন ডায়াবেটিসের ওষুধ খালি পেটে হজম হবে না। উল্টো গ্যাস্ট্রিা আলসারের মতো বিপদ হতে পারে।  খাবার পরে ওষধগুলো ঠিকমতো রক্তে পৌছাতে পারে বা শরীরে ঠিকমতো হজম হয়। সাইড ইফেক্ট কম হয়। 

তাই ঘড়ি দেখে ঠিক সময় মতো ঔষধ খাওয়ার অভ্যাস করুন। আর যে কোনো ঔষধ খাওয়ার আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিন। তাকে বারবার জিজ্ঞাসা করুন কোন ঔষধ আপনাকে কেন দেয়া হচ্ছে? কী পরিমানে দেয়া হচ্ছে? কতদিন ধরে খেতে হবে? খাবারের কতক্ষন আগে বা পরে খেতে হবে ? ওষুধের সাইড ইফেক্টসগুলি কী? এই ওষুধ খেলে কোন কোন খাবার বন্ধ রাখতে হবে, এবং কোন খাবার খেলে ভালো হয়। নিজের খেয়াল খুশিমতো ঔষধ খাবেন না।  

More detail

** Mobile description review and specifications website click and check out